প্রেমের কবিতা -100 টি প্রেমের কবিতা

সুপ্রিয় পাঠক, কেমন আছেন আপনারা। আশা করি আপনারা সকলে ভালো আছেন। আমাদের মধ্যে কমবেশি প্রত্যেকের জীবনে প্রেম আসে। আর প্রেম মানুষের জীবনে সুন্দরতম অধ্যায়। যে অধ্যায় মানুষের জীবনকে অনেক সুন্দর করে গরে তুলে। তবে কিছু কিছু প্রেম মানুষকে ভেঙে ফেলে। তবে বেশিরভাগ মানুষের জীবনকে অত্যন্ত সুন্দর করে তুলে। আজকে আমি আপনাদের সামনে নিয়ে এসেছি 100 টি সেরা প্রেমের কবিতা। আশা করি এগুলো আপনার মনে গেঁথে যাবে। এমনকি আপনি এগুলো পড়ে আনন্দিত হবেন।

প্রেমের কবিতা

তুমি মেঘ হয়ে আসলে আমি আকাশ হয়ে জড়িয়ে রাখতাম,
তুমি সকাল হয়ে আসলে আমি পাখির ডাক হয়ে আমন্ত্রণ দিতাম।
তুমি যদি হতে বর্ষার পানি আমি নদী হয়ে বুকে গ্রহন করে নিতাম,
হতে যদি বিকেলের ঘরে ফেরা পাখি আমি সন্ধ্যা হয়ে তোমায় আরাম দিতাম।
তুমি হতে যদি এই শীতের কুয়াশা চাদর আমি পথিক হয়ে তোমায় গায়ে জড়াতাম,
তুমি যদি এই শীতের বৃষ্টিও হতে আমি সাদরে ভিজে তোমার শীতলতা উপভোগ করতাম।
তুমি যদি হতে কোনো ফুলের বাগান আমি মালি হয়ে তোমার যত্ন নিতাম,
তুমি হতে যদি জ্যোৎস্না রাতের চাঁদ আমি নিশাচর হয়ে প্রতিরাত তোমার পায়ে উৎসর্গ করে দিতাম ।
তুমি হতে যদি আমার এই পৃথিবী আমি সূর্যের মতো করে তোমায় আলো দিতাম,
ইচ্ছে জেগেছে খুব শ্যামাঙ্গিনী…………..
আবার যদি তোমায় কাছে পেতাম বুকে জড়িয়ে নিয়ে তোমার কপালে একটা চুমু দিতাম…………….
মনের সাথে যুদ্ধে পরাজিত দিনের প্রতিটি প্রহরে,
চলে যাবো সব ছেড়ে এক অচেনা কোনো শহরে।
এত মায়া ভালবাসার বাধনে কবিকে না মানায়,
হতে চাই প্রেম শূন্য আমি নিজেকে রেখে অজানায়।
গম্ভীর স্বভাবের হাত ধরে আমি হতে চাই বিলিন,
আমি হারিয়ে এই জগৎ সংসার হয়ে থাকবো মলিন।
আত্যহত্যার চেয়ে আত্যগোপনই হয়তো হবে ভালো,
দুনিয়ার আলো চোখে লাগছে খুব তাই বেছে নিলাম কালো।
এই দুনিয়ার নির্ধারিত সময় দালানে কিংবা গাছতলায়,
চলে যাচ্ছি এই রঙ ছেড়ে কষ্ট সুপ্ত হাসিটাই রইলো বিদায় বেলায়।
লেখা হয়নি কিছুই কি ছিলো তোমার সৌন্দর্য,
আমার কাছে সেই তুমি ছিলো কতোটা আশ্চর্য।
লিখতে চাই এইবার আমি মনের দোয়ার খুলে,
আকবো তোমার সৌন্দর্য আজ ডাইড়িকে বলে।
কৈশোরে তুমি কেমন ছিলে তোমার কি মনে পরে,
চাকচিক্য ভাবনার বধু যা আসতো আমার ঘরে।
এমন কোনো ফুলছিলোনা যা খোপায় না পেত শোভা,
সব কিছু লাগতো সাদামাটা দেখলে তোমার আভা।
আজও সবচেয়ে সুন্দর তুমিই কি ছিলো তোমার মায়া,
চাঁদ টা এখনো পানসে লাগে রয়ে গেছে যে তোমার কায়া।
হেয়ালিপনায় বলেছিলাম শুকনো লতা তোমার গায়ের বরণ,
কাটগোলাপ ও মুখ লুকিয়েছিলো শ্যামাঙ্গিনী তুমিই ছিলে কারণ।
কোনোদিন যদি চোখ পরে তোমার আমার এই কবিতায়,
মিলিয়ে নিও সব কথা গুলো চোখ রেখে তুমি আয়নায় ।
জানিনা তুমি আগের মতোই আছো নাকি বদলে গেছো অনেকটা,
তোমার আকাশে সোনালী রোদ আর তোমার ছায়ায় আমার অর্ধেকটা
শীতল হচ্ছে পরিবেশ তবুও বৃষ্টির নেই দেখা,
এই শীতের শুরুতে বর্ষা করেদিলো আমায় একা।
নতুন পরিবেশের নতুন নিয়মে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি,
শীতের আগের সেই অপেক্ষাকৃত বৃষ্টিতে আমি ভিজেছি।
সারা বছরের ক্লান্তি ধুয়ে নিয়ে যায় এই শীত আগমনী বৃষ্টির পানি,
অপেক্ষায় গা জ্বলসে গেছে উপাহার দাও ঝিরিঝিরি একটুখানি।
না এবার আর হবেনা দেখা শীতল কাদাজল পাবেনা আমার পা,
অপেক্ষায় তোমার আকাশ পানে চেয়ে জমাট বেঁধে বুকের ঘা।
একটিবার এসে জড়িয়ে ধরো শীতের আগমনের এইক্ষন……………….
জ্বর শরীরেও কাথা ত্যাগ করে পরিনাম জেনেও তোমার এই ধরায় প্রবেশ এর পর মাটিয়ে লুটিয়ে পরার আগে তোমায় গায়ে মিশিয়ে ভিজতে রাজি আমি তোমার প্রেম পিপাসি বোকা মানুষ একজন……………….
সুখ এক রঙরাং পাখি কেউ পায় রয়ে যায় কারো অদেখা,
অনেকের হিসাব অনিশ্চিত শেষে খাতায় শুধু এলোমেলো রেখা।
কারো জীবন সাদামাটা সরলরেখায় চলে যায়,
চলছে যেমন চলতে থাক তার না কিছু আসে যায়।
সুখের সুত্র বহু কঠিন তার জের মেলানো কি যায়,
বামপক্ষ সমান ডানপক্ষ এইটা জীবনে না মানায় ।
অনেকের জীবন আটকে আছে সুখের রেওয়ামিলে,
দিন মাস বছর হচ্ছে অতিবাহিত জীবনের গোজামিলে।
বহু ছকের গুজামিলে আজ সুখ এসেও চলে যায়,
ক্লান আমি কালিও শেষ ফল অপ্রকাশিত হিসাব পূন্য খাতায়।

রোমান্টিক প্রেমের কবিতা

পুরো পৃথিবীতে ধ্বংসাবশেষ তবুও ফিরবোনা তোমার শহরে,
অপেক্ষায় তুমি ক্লান হবে বছর মাস দিনের প্রতিটা প্রহরে।
পথিক হয়ে পথ বদলেছি ফিরে তাকাইনি পুরোনো পথের দিকে,
হাটতে হাটতে হাড়িয়ে ফেলেছি নিজেকে জটিল পথে বাকে।
পিছন ফিরে দেখিনি দাগ যেখান থেকে হাটা হয়েছিলো শুরু,
পথ বেড়েছে হেটে চলেছি দেখা দিচ্ছে ঘাসের আভাহীন মরু।
জানিনা কোথায় বেকে যাবে পথ দেখা হবে কোন মোরের,
পথিক আমি তাই উদ্দেশ্যহীন হেটে চলেছি দেখা পেতে বহুদূরের।
হাটবো আমি সব পথেই তোমার বাড়ির রাস্তাটাও তার ব্যাতিক্রম নয়,
অপেক্ষায় তুমি থাকো ধৈর্য রাখো না চাইতেও যদি কখনো দেখা হয়।
আমার আলিংগনের ধুলো মিশে আছে তোমার আশেপাশের প্রতিটা রাস্তার মোড়ে,
একটা কথা স্মরণ রেখো শ্যামাঙ্গিনী পথ পথিকের সৃষ্টি করেনা পথিক পথের সৃষ্টি করে।
আজ অনেক দিন অতিবাহিত হলো কলম হাতে বসা হয়না,
ভাবনায় তোমার বাস তাই বাস্তবতায় তোমায় খোজা হয়না।
লোকালয়ে হাজারো মুখের ভীড়ে সেই মুখ আর দেখা হয়না,
দুঃখ বিলাশে ডুবে থাকি তাই শ্যামাঙ্গিনীকে পাওয়া হয়না।
নতুন কারো অনুপ্রবেশেও তোমাকে আর ভোলা যায়না,
তোমার অনুপস্থিতেও প্রেমে পরি নিজেকে আটকানো যায়না।
কি এমন আছে তোমার মাঝে এই প্রশ্নের উত্তর আজও পাইনা,
ছুয়ে দেখতাম তোমায় একটু আফসোস তোমায় কাছে পাইনা।
হাড়িয়ে মহা জটিলতার ভীরে নিজেকেও আজ পাশে পাইনা,
তুমি তোহ আমার অসাধ্য তাই তোমায় হাতের রেখায় পাইনা।
না এসেও ঘিরে রেখেছো আমায় তবুও ফাল্গুলে তোমার দেখা নাই,
ভুলে গিয়ে তুমি খুশি তোমায় ছেড়ে এসে আমিও আর তোমার নাই ।
আবার নাকি দেখতে চাও পুরোনো রুপে আমি তোহ আর তেমন নাই,
দুইটি গল্প অসম্পূর্ণই পরে থাকবে ভাগ্যে হয়তো আর দেখা নাই।
তুমি থাকবে আমার কবিতায় ডাইড়ির বাহিরে নিষিদ্ধ তোমার গান……….
এত সব সুখে তোমায় দূরে রাখবো সেই সন্ধ্যায় নেই তোমার স্থান …………….🚫🚫
⚫তোমার ভালবাসা খাতাবন্দী তাই বৃষ্টিতে আমি একা ভিজবো, গায়ে মাখবো শীতল বৃষ্টি জল আপন করে নেবো কাদা পানিতে নিজেকে, কবিতা শুনিয়ে মুগ্ধ করবো কালো মেঘ কে, যাতে বার বার এসে ছোয়া দিবে যাবে আমার হাতে, শীতল পানিতে জুড়িয়ে যাবে আমার দেহ মন, বিদ্যুৎ চমকে আলো দেবে কোনো সন্ধ্যায় আমার বারান্দায়, এত সব সুখ আমি অনুভব করবো⚫
অহেতুক কতো ছোটাছুটি দিন গুলো ছিলো সোনালী,
বেশ তোহ আনন্দে রেখেছিলি তবে হঠাৎ কেনো পালালি।
একসাথে ছিলাম খেলার সাথীরা খুনশুটি হাজারো,
হাতছানি দিয়ে মনে নাড়া দিস আসবি কি আবারো?
পারিস না কি ফিরতে আবার তুই আমার কাছে,
কতো কিছুই তোহ তোকে নিয়ে শোধরানোর বাকি আছে।
তোকে পেলে কাছে আসবে দূরে যাওয়া সব সুখ,
সবাই আবার খেলায় জমবো সবার বুকে মিলিয়ে বুক।
কোথায় গেছে তারা আজ যারা অকারণে ছিলো সাথে,
তুই চলে গেলি তারপর আর তাদের হাত পাইনি কাধে।
গাছের ছায়ায় খেলার ছলে গড়েছিলাম কতো সংসার,
হাড়িপাতিল বিহীন সেই সংসারে ফিরবে কি তারা আর?
রান্নার সেই মিথ্যে আগুনে হাত পুড়লো যেন কার,
খেলার ছলে মুখ কালো অবশেষে হাসলাম সবাই আবার।
মিথ্যে সেই ঘরটা হাসতে হাসতে ভেঙেদিলাম এক সময়,
হারানো সেই শৈশবের দিনগুলো আজ কাদায় অসময়।