আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব রমজান মাস কত তারিখে এবং রমজান মাসের তাহাজ্জুদ পড়ার নিয়ম সম্পর্কে। অনেক মানুষের মাঝেই একটি প্রশ্ন থাকে যে রমজান মাসে তাহাজ্জুদ কিভাবে পড়তে হয়। কিংবা রমজান মাসে তাহাজ্জুদ পড়ার জন্য কে আলাদা নিয়ম আছে কিনা। আবার অনেকে এটাও জানতে চাই যে এই বছর রমজান মাস কত তারিখে শুরু হবে।
আর তাদের কথা বিবেচনা করি আমি আজকে তাদের জন্য সকল তথ্য নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি সবার প্রশ্নের উত্তর গুলো দিয়ে দেব। তাই আপনি যদি জানতে চান যে রমজান মাস ঠিক কত তারিখে এবং রমজান মাসের তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম কিরকম হয়। তাহলে আজকের দেওয়া পোস্টটি ভালোভাবে করতে হবে।
আজকেরটা পোস্টটি ভালোভাবে পড়ার মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন আপনার অজানা সকল তথ্য রমজান। মাসে মুসলিমদের জন্য এই একটি মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি মাস। মুমিন ব্যক্তিরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে এই মাসটির জন্য। পবিত্র এই মাসটি কেউ ই বিফলে ফেলতে চায় না। আমল দ্বারা পরিপূর্ণ করতে চায়।
এখানে যা যা পাবেন
রমজান মাস কত তারিখে
পবিত্র রমজান মাসটির অপেক্ষায় আমরা প্রায় সকলেই অধীর আগ্রহে বসে থাকি। কারণ এই মাসটি হলো ফজিলত পূর্ণ মাস। মুমিন ব্যক্তিদের মাথায় রমজান মাস এর কথা আসলেই একটি কথা তারা সবসময় ভাবে যে তাদের এই সুযোগ মাসের মধ্যে তাদের আমলনামায় যত গুনাহ আছে তা আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া। এবং যতটা সম্ভব তার আমলনামা সওয়াব দিয়ে পরিপূর্ণ করা।
আর তাইতো তারা প্রতিনিয়ত জানতে চাচ্ছি যে এই বছর রমজান মাস কত তারিখে শুরু হবে। আর তাদের কথা বিবেচনা করে আমি আজকে তাদের জানিয়ে দেবো যে রমজান মাস এ বছর কত তারিখে শুরু হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এ বছর রমজান মাস কত তারিখ থেকে শুরু হবে।
ইংরেজি ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২৩ সালের রমজান মাস ২৩ মার্চ থেকে শুরু হবে।
রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার নিয়ম
প্রথমেই বলে রাখি যে রমজান মাসে তাহাজ্জুদ নামাজ পড়ার জন্য ধরা বাধা কোন আলাদা নিয়ম নেই। অর্থাৎ সাধারণ নিয়ম মেনেই আপনি রমজান মাসেও তাহাজ্জুদ নামাজ পড়তে পারবেন। দুই রাকাত দুই রাকাত করে আপনার যত রাকাত নামাজ পড়তে ইচ্ছা করে আপনি তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করতে পারেন।
রমজান মাসে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করা খুবই সহজ কারণ সাহরীর খাবার খেতে ওঠার পর আপনি সাথে সাথে দুই রাকাত অথবা চার রাকাত অথবা ৮ রাকাত আপনার ইচ্ছামত সালাত আদায় করতে পারবেন পরবর্তীতে সাহরির খাবার খেয়ে আপনি রোজা থাকতে পারবেন।
আপনি যদি রমজান মাসে তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করেন তাহলে অন্যান্য সময়ের তুলনায় আপনি ৭০ গুণ বেশি সওয়াব পাবেন। তাই প্রত্যেকেরই উচিত আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন এবং নিজের মনের আশা পূরণের উদ্দেশ্যে রমজান মাসকে কাজে লাগানো।
২০২৩ সালের ঈদুল ফিতর কত তারিখে
আমরা শুরুতেই জেনেছি যে ২০২৩ সালে রমজান মাস ২৩ শে মার্চ থেকে শুরু হবে। এখন হয়তো সবার মনে একটি প্রশ্ন জেগেছে যে চার মাস শেষ কবে হবে এবং ঈদুল ফিতর কবে বা কত তারিখে। সাধারণভাবে হিসাব করলে দেখা যায় ২১শে এপ্রিল রোজা শেষ হয়ে যাবে এবং পবিত্র ঈদুল ফিতর শুরু হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এটি নাও হতে পারে। এবং তার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
একটি কথা তো আমরা প্রত্যেকেই জানি ঈদ কবে হবে তা সম্পূর্ণ তাদের ওপর নির্ভর করে। অর্থাৎ ঈদের দিন কবে আসবে বারোজা কবে শেষ হবে তা সম্পূর্ণ নির্ভর করে চাঁদের উপর। কারণ চাঁদ দেখে ঈদের দিন বিবেচনা করা হয়। তাই ২১এপ্রিল রমজান মাস শেষ নাও হতে পারি।
রমজান মাস কবে শেষ হবে এবং ঈদের দিন কবে তার সম্পূর্ণ চাঁদের উপর নির্ভরশীল। আশা করি ঈদুল ফিতর কত তারিখে হবে এ সম্পর্কে আপনাদের মধ্যে ধারণা দিতে পেরেছি আমি।
রোজা সম্পর্কিত হাদিস
এখন আমি আপনাদের সাথে রোজা সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ হাদিস নিয়ে আলোচনা করব। আপনারা যদি রমজান মাসের এই গুরুত্বপূর্ণ হাদিস গুলো জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমার দেওয়া পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। কারণ আজকে এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনি রোজা সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য পেয়ে যাবেন।
**সিয়াম নির্দিষ্ট কয়েক দিনের। তোমাদের মধ্যে কেউ অসুস্থ হলে অথবা সফরে থাকলে অন্য সময় এই সংখ্যা পূর্ণ করবে। এটা যাদের সাতিশয় কষ্ট দেয় তাদের কর্তব্য এর পরিবর্তে ফিদইয়া-একজন অভাবগ্রস্তকে খাদ্যদান করা। যদি কেউ স্বা:স্ফূর্তভাবে সৎকাজ করে তবে তা তার পক্ষে অধিক কল্যাণকর। আর সিয়াম পালন করাই তোমাদের জন্যে অধিকতর কল্যাণকর যদি তোমরা জানতে। (সূরা বাকারা-২:১৮৪)
**হযরত আবু হুরায়রা (রা) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ(সো:)ইরশাদ করেন, সিয়াম ঢালস্বরূপ। তোমাদের কেউ কোনোদিন সিয়াম পালন করলে তার মুখ থেকে যেন অশ্লীল কথা বের না হয়। কেউ যদি তাকে গালমন্দ করে অথবা ঝগড়ায় প্ররোচিত করতে চায় সে যেন বলে, আমি সায়িম।(সহীহ বুখারী: ১৮৯৪, সহীহ মুসলিম:১১৫১)
**‘হে ঈমানদারগণ! তোমাদের ওপর রোজা ফরজ করা হয়েছে, যেরূপ ফরজ করা হয়েছিল তোমাদের পূর্ববর্তী লোকদের ওপর, যেন তোমরা পরহেযগারী অর্জন করতে পার। (সূরা : বাকারা, আয়াত : ১৮৩)
Read More