মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা – ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা – বর্তমানেঅনেক মানুষই আছে যারা মালয়েশিয়া কাজের জন্য যাচ্ছে। কারণ বাংলাদেশি বেশিরভাগ যুবকরাই বেকার জীবনযাপন করছে আর জীবন চলার পথে টাকা অত্যন্ত প্রয়োজন। টাকা ছাড়া মানুষ পথের ভিখারী হয়ে যায়। আর তাই টাকা কামানোর উদ্দেশ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ প্রবাসে জীবন যাপন করছি এবং প্রবাস যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে কাজের উদ্দেশ্যে। আর আজকে আমি তাদের উদ্দেশ্যে মালেশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা নিয়ে কিছু কথা বলব।মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য পূর্ব শর্ত হলো ভিসা। মালয়েশিয়া যাওয়ার জন্য বিভিন্ন ভিসা রয়েছে তবে কর্মী হিসেবে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা অন্যতম।

আর আপনি যদি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার মাধ্যমে যেতে চান তাহলে আমার দেওয়া পোস্টটি ভালোভাবে পড়ুন। কারণ আজকের এই পোস্টটির মাধ্যমে আমি আপনাদেরকে মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য জানিয়ে দেব। এমনকি আপনি এটাও জানতে পারবেন যে মালয়েশিয়ার ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত তারপর এর কাজ সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন। এই পোস্টটি পড়ার মাধ্যমে আপনি অত্যন্ত উপকৃত হবে যদি আপনি মালয়েশিয়ায় ফ্যাক্টরি ভিসাতে যেতে চান। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা সম্পর্কে সকল তথ্য।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা বেতন কত

প্রথমেই বলবো মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন অত্যন্ত ভালো। তবে মালেশিয়া ফ্যাক্টরির ভিসায় কাজ করতে হলে আপনাকে অত্যন্ত পরিশ্রম করতে হবে এবং বিভিন্ন নিয়ম কানুনের মধ্যে আপনাকে অর থাকতে হবে। এবং ফ্যাক্টরি প্রদত্ত নিয়ম কানুন গুলো অত্যন্ত কঠোরভাবে পালন করতে হবে। তাছাড়া সব থেকে বড় কথা আপনার বেতনের পরিমাণ অত্যন্ত ভালো হবে। মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসায় কর্ম অবস্থায় থাকলে আপনার নিশ্চিন্তে থাকতে পারবেন কারণ মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা একটু রুলস রেগুলেশন এর মধ্যে থাকলেও তারা আপনাকে বিভিন্ন সুবিধা দিবেন।যারা মালয়েশিয়ায় প্রবাস জীবন যাপন করছে ফ্যাক্টরি ভিসায় তাদের কাছ থেকে আপনি নিজেই জেনে নিতে পারবেন।

ভিসাতে আপনি ৬০ থেকে ৯০ হাজার টাকা পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন। এটি মালয়েশিয়া সরকার প্রদত্ত কাঠামো। অর্থাৎ আপনি যদি ফ্যাক্টরির তে গিয়ে যেটুকু সময় কাজ করার সেইটুকু সময় মনোযোগ সহকারে এবং পরিশ্রমের সাথে করেন তাহলে অবশ্যই আপনার কাজে খুশি হয়ে আপনার বেতন বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে হ্যাঁ প্রথমত আপনার বেতন একটু কম থাকবে এরপর আপনার কাজের উপর নির্ভর করে আপনার বেতন বৃদ্ধি পাবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি কাজ

এই পৃথিবীতে কোন কাজই সহজ নয়। কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে নিজের সফলতা অর্জন করতে হয়। কারণ কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে আপনি কোন কাজ করলে সে কাজ অতি কঠিন থাকলেও একসময় আপনার কাছে সহজ হয়ে যাবে শুধু একটু ধৈর্যের প্রয়োজন। ধৈর্যধারণ ছাড়া জীবনে কিছুই সম্ভব না। আর ধৈর্যের ফল সব সময় মিষ্টি হয়। আর আর অলস অকরমুন্য জীবনের থেকে একটু পরিশ্রমী জীবন অনেক ভালো এতে আপনার শরীর মন দুটোই সুস্থ থাকবে ভালো থাকবে।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি গুলোর সাধারণত কাজ হয়ে থাকে কৃষি রিলেটেড যেমন ধান-গম এর ফ্যাক্টরি এছাড়াও পোল্ট্রি ফার্মের ফ্যাক্টরি ফ্যাক্টরির কাজে। আর বাংলাদেশ থেকে ফ্যাক্টরি ভিসায় কাজে নিয়ে মালয়েশিয়ান সরকার সাধারণত এ কাজগুলোই দিয়ে থাকেন। খুব একটা কষ্টের নয় তবে আপনাকে এ কাজে কিছু রুলস মানতে হবে যেমন আপনাকে এই কাজগুলো ৮ থেকে ১০ ঘন্টা নিয়ম মেনে করতে হবে এবং আপনার ওভারটাইম দেওয়া হবে না। তাছাড়া বিভিন্ন প্রবাসী মানুষের কথা অনুযায়ী তাদের ৮ ঘন্টা ডিউটি করতে হয় এবং তাদের মাস শেষে বেতন ৫০ থেকে ৭০ হাজারের মতো।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন

ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করার জন্য আপনাকে কিছু নিয়ম বিধি মানতে হবে। নিচে আমি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য যা যা প্রয়োজন তা দিয়ে দেব। আমার পোস্টটি পুরোপুরি পড়ার মাধ্যমে জেনে নিতে পারেন :-

ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে আপনার প্রথম প্রয়োজনীয় জিনিস হলো পাসপোর্ট। > এরপর আপনার বিভিন্ন কাগজপত্র যেমন আপনার যেকোনো একটি কাজের দক্ষতার সার্টিফিকেট থাকতে হবে।

সবচেয়ে প্রয়োজনীয় জিনিস হল আপনার শারীরিক টেস্ট এর মেডিকেল রিপোর্ট প্রয়োজন।

> এছাড়াও তিন দিনের একটি ট্রেনিং আছে সেই ট্রেনিং এ আপনাকে নিয়োজিত থাকতে হবে।

> আরো বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্র বিভিন্ন ধরনের লাইসেন্স অর্জন করার মাধ্যমে আপনি মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা আবেদন করতে পারবেন।

> আর এভাবেই ফ্যাক্টরি ভিসার জন্য আপনাকে আবেদন করতে হবে।

> আবেদনের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো হল :-6 মাস মেয়েদের ভেলিক পাসপোর্ট, চার কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি, মেডিকেল টেস্ট রিপোর্ট, চেয়ারম্যান করতে স্বাক্ষরিত সনদপত্র, মা বাবার এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, নিজের এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, এডুকেশন কোয়ালিফিকেশন ইত্যাদি।

মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরি

যারা ইলেকট্রিক কাজ করেন তাদের জন্য মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরি রয়েছে। মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরিতে যদি আপনি কাজ করতে পারেন তাহলে আপনার বেতনের পরিমাণ বেশি পূর্বে। আর মালয়েশিয়া যদি কোন কোম্পানি বেতন বেশি দিয়ে থাকে তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম হলো মালয়েশিয়া ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরি। এই কাজের প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। আপনি যদি ইলেকট্রিক কাজ ভালো পারেন তাহলে ইলেকট্রিক ফ্যাক্টরিতে যেতে পারেন।

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা খরচ

বর্তমানে মালয়েশিয়ায় যেতে আপনার খরচ পড়বে আড়াই লক্ষ থেকে তিন লক্ষ টাকা। তবে আপনার পরিচিত কেউ যদি মালয়েশিয়া থাকে সে যদি ভিসা পাঠায় তবে সেক্ষেত্রে আপনার খরচ পড়বে 1 লক্ষ 60 হাজার টাকা। তাই সবচেয়ে ভাল আপনার পরিচিত কারো দ্বারা ভিসা পাঠানো। আর আপনি যদি দালালের মাধ্যমে যান তাহলে 2 লক্ষ 20 হাজার থেকে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত খরচ পড়বে। দালাল ভেদে টাকার পরিমাণ কমবেশি হতে পারে।

Rea More

মালদ্বীপ ভিসার দাম কত , মালদ্বীপ যেতে কত টাকা লাগে?

মেয়েদের নিয়ে ফেসবুক স্ট্যাটাস

ছেলেদের ফেসবুক স্ট্যাটাস

Leave a Comment