কাশফুল প্রতিটি মানুষের অন্যতম পছন্দ। কাশফুল পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কম পাওয়া যাবে। কাশফুল মানুষের মনে এক অন্যরকম ভাললাগা সৃষ্টি করে। আর ভালোলাগা থেকে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। কাশফুল হচ্ছে ভালোবাসার প্রতীক। কাশফুল দেখলে মনের মধ্যে ভালোবাসার সৃষ্টি হয়। আর বর্তমানে প্রায় সবাই কাশফুলের প্রতি একটু দুর্বল। অনেক মানুষ আছে আবার হাজার টাকা ব্যয় করে কাশফুল দেখার জন্য চলে যায়। নদীর ধারে কাশফুলের বিচরণ হয়ে থাকে। নদীর চরে অসংখ্য কাশফুল দেখা যায়। কাশফুল দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ নদীর পাড়ে ভিড় জমায়।
আমরা সকলেই জানি নদী থেকে যখন পানি কমে যায় তখন কাশফুল নদীর পাড়ে বেড়ে ওঠে। আর কাশ ফুলের সৌন্দর্যে নদীর দু’পাড়ে যেন গহনা পরে। কাশফুলের কারণে নদীর হারগুলো অপরূপ সৌন্দর্যে ভরে ওঠে। আজকের এই পোস্টে আমি কাশফুল নিয়ে অসাধারন কিছু ক্যাপশন যেগুলো মানুষ ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে তা দিয়ে দিব। এছাড়াও আজকের এই পোস্টে আপনি কাশফুল নিয়ে কবিতা ও ছোট গান ফিরে যাবেন।
এখানে যা যা পাবেন
কাশফুল নিয়ে ক্যাপশন
> নদীকে অপরূপ সৌন্দর্য সৌন্দর্য মন্ডিত করতে কাশফুল যেন গহনা স্বরূপ হিসেবে আসে। গহনা যেমন মেয়ে মানুষের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে ঠিক তেমনি নদীর পাড়ের সৌন্দর্য ফুটিয়ে তোলে কাশফুল।
> কাশফুল যে শুধু নদীকে প্রেমে ফেলে তা নয় কাশফুল হাজারো প্রেমিক-প্রেমিকাকে তার প্রেমে পড়তে বাধ্য করে।
> কাশফুল মানে শরতকালের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করা এবং সেইসাথে মানুষকে তার প্রেমে ফেলা।
> প্রিয় !কাশফুলের পরোতে পরোতে গাঁথা আছে তোমার ওই নাম।
> মেয়েদের আলতো স্পর্শ, কাশফুল যতটা পেয়েছে মনে হয়না পৃথিবীর আর কোনো প্রেমিক তা পেয়েছে।
> আমার মত কাশফুল কে ভালবাসে কয়জন, কাশফুল কে ভালবেসে ভরাই আমার মন।
> আমি তোমাকে নিয়ে যেতে চাই সবচেয়ে সৌন্দর্য মন্ডিত জায়গায় যেখানে তুমি চোখ খুলে দেখতে পারবে কাশবন।
> তুমি কি প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য অনুভব করতে চাও তাহলে কাশবনে যাও।
> মনকে প্রফুল্ল ও স্নিগ্ধ রাখতে নদীর দু’পাড়ের কাশফুল ও নদীর চর জেগে ওঠা কাশবন ই যথেষ্ট।
> কাশফুলের মায়ায় ভরিয়ে রেখো আমায়, তাহলে আর কোনোদিন ও ছেড়ে যাবো না ওগো তোমায়।
> পুচ্ছ তোলা পাখির মতো কাশবনে এক কন্যে, তুলছে কাশের ময়ূর চূড়া কালো খোঁপার জন্যে।
> কাশফুলের ই গন্ধে আমি বিমোহিত রই। ও কাশফুল! এতো সুবাস পাচ্ছো তুমি কই?
> তোমার হাতে বন্দী আমার ভালোবাসার কাশ, তাই তো আমি এই শরতে তোমার ক্রীতদাস!
কাশফুল নিয়ে কবিতা
আগমনী সুর বেজে উঠেছে
সাদা কাশফুল উড়ছে আকাশে
মনটা খুঁজে তোমার ছায়া
এই সশরৎ এর অশ্বিন মাসে
শরৎ সেজেছে কাশফুলে
থরে বিথরে বালুচরে!
সাদা মেঘের শতদল উড়ছে
অপরূপা নীলাম্বরে!
ভেবেছিলাম প্রথম যেদিন ফুটবে তোমায় দেখব,
তোমার পুষ্প বনের গাঁথা মনের মত লেখব।
তখন কালো কাজল মেঘ তো ব্যস্ত ছিল ছুটতে,
ভেবেছিলাম আরো ক’দিন যাবে তোমার ফুটতে।
সবে তো এই বর্ষা গেল শরত এলো মাত্র,
এরই মধ্যে শুভ্র কাশে ভরলো তোমার গাত্র।
ক্ষেতের আলে নদীর কূলে পুকুরের ওই পাড়টায়,
হঠাৎ দেখি কাশ ফুটেছে বাঁশ বনের ওই ধারটায়।
আকাশ থাকে মুখ নামিয়ে মাটির দিকে নুয়ে,
দেখি ভোরের বাতাসে কাশ দুলছে মাটি ছুঁয়ে।
কিন্তু কখন ফুটেছে তা কেউ পারে না বলতে,
সবাই শুধু থমকে দাঁড়ায় গাঁয়ের পথে চলতে।
উচ্চ দোলা পাখির মত কাশ বনে এক কন্যে,
তুলছে কাশের ময়ূর চূড়া কালো খোঁপার জন্যে।
শরত রানী যেন কাশের বোরখা খানি খুলে,
কাশ বনের ওই আড়াল থেকে নাচছে দুলে দুলে।
প্রথম কবে ফুটেছে কাশ সেই শুধুরা জানে,
তাইতো সেটা সবার আগে খোঁপায় বেঁধে আনে।
ইচ্ছে করে ডেকে বলি, “ওগো কাশের মেয়ে―
আজকে আমার চোখ জুড়ালো তোমার দেখা পেয়ে
তোমার হাতে বন্দী আমার ভালোবাসার কাশ
তাইতো আমি এই শরতে তোমার কৃতদাস”
ভালোবাসা কাব্য শুনে কাশ ঝরেছে যেই
দেখি আমার শরত রানী কাশবনে আর নেই।
কাশফুল নিয়ে গান
কোথায় যেনো বৃষ্টির রিমঝিম শোনা যায়
বইছে বাতাস, কাশফুল ছুঁয়ে শন-শন
বৃষ্টির উচ্ছ্বাস ছুঁয়ে যায় নাগরিক উপকূল।
রিমঝিম রিমঝিম নাচলো আমার মন
অনেকদিন, অপেক্ষায়, সমান্তরাল থেকেই গেলো জেব্রা ক্রসিং…
বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।
আজ জানালার বাওরে একঝাঁক বৃষ্টি রিমঝিম রিমঝিম
বইছে বাতাস, কাশফুল ছুঁয়ে ছুঁয়ে ছুঁয়ে…
রাস্তার সিগন্যালে কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং
অনেকদিন হেরে যাওয়া মন দিলো ধুয়ে!
রাজপথে ছুটে যায় যান্ত্রিক ফড়িং আর রিক্সায় আঁকা পেইন্টিং
নাগরিক বৃষ্টির ছাতে রবীন্দ্রনাথ অসহায়
তাই কন্ডাকটর জেব্রা ক্রসিং।
প্রেমিকার উচ্ছ্বাসে “বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল”
যদিও করতেই হবে দান-
হৃদয়ের খুব কাছে জমে থাকা অভিমানে
নাগরিক বৃষ্টির এই গান?
অনেকযুগ অপেক্ষায় মেঘের ভেলায় ভেসে গেলো এই দিন…
বৃষ্টির প্রার্থনায় কাশফুল নতজানু,
উড়ে চলে তৃষ্ণার্ত রঙহীন ফড়িং।
এই অবেলায় ফোঁটা কাশফুল, নিয়তির মত নির্ভুল
যেন আহত কোন যোদ্ধার বুকে বেঁচে থাকা এক
মেঘফুল
যদি ঘরে ফেরা পাখি নিশ্চুপ, হৃদয়ে ঢেউ ভাঙ্গে ছুপছুপ,
তবু জাহাজীর নাগরিক ঢেউ, অপরাধ মেনে নিয়ে কেউ
কেউ,
যদি শোঁকগাথা হাতে বহূদুর যাও একদিন ঠিকই এনে দেব
হাসিমুখ।।
রোদ্দুর, একসাথে হেঁটে হেঁটে যেতে চাই বহূদুর
বুকের ভেতর ডানা ঝাপ্ টায় পাখি, বেপরোয়া ভাংচুর।
তুমি চেয়ে আছ তাই আমি পথে হেঁটে যাই,
হেটে হেটে বহুদূর, বহুদূর…
Read More