কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন – ব্রিটেন, লন্ডন, আমেরিকা

কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা হলো স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচর্যার ভিসা। করণা মহামারীর কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার – পরিচর্যার কর্মীরা মৃত্যুবরণ করেছে এবং এই কাজ থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। যে সকল কারণে সেই সকল দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। যার কারণে তারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। যে সকল দেশে আপনি কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন করতে পারবেন তা হল ব্রিটেন, লন্ডন ও আমেরিকায়। আজকের এই পোস্টের আমি জানাব কিভাবে আপনি ব্রিটেন, লন্ডন ও আমেরিকায় কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায় যেতে পারবেন এবং কিভাবে তা আবেদন করতে হয়।

ব্রিটেন কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা

বিশেষ করে ব্রিটেনে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী। কেননা করণা মহামারীর সময় সেই দেশে অনেক স্বাস্থ্যকর্মীর মৃত্যুবরণ করেছে। আবার অনেকে ভয় ও পরিবারের চাপে এই সকল চাকরি থেকে অব্যাহতি নিয়েছেন। জানা গেছে ব্রিটেনে এক দিনে প্রায় ১৩ হাজার স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী চাকরি ছেড়ে দিয়েছিল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন করণা মহামারীর সময় কি পরিমাণ স্বাস্থ্যকর্মী পদত্যাগ করেছিলো।

এর জন্য ব্রিটেন সরকার পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাস্থ্য ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন কর্মী নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে। আপনি যদি একজন নার্স, ডাক্তার অথবা পরিচ্ছন্নকর্মী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি এই ভিসা তে আবেদন করে নিতে পারেন। আর ব্রিটেন সরকার এখানে অনেক সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। আপনি আবেদন করার সাথে সাথেই ব্রিটেন সরকার তা গ্রহণ করবে। এবং আপনার জন্য ভিসা প্রদান করবে। শুধুমাত্র পরিচ্ছন্ন কর্মীদের বেতন হবে ২১ হাজার পাউন্ড। নার্স ও ডাক্তার দের বেতন আরো হবে।

লন্ডন কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা

লন্ডন সরকার তার দেশের বৃদ্ধ মানুষের সেবা-যত্ন করার জন্য এবং বেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা চালু করেছে। বাংলাদেশ থেকেও কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা জনবল নিয়োগ দিচ্ছে। আপনি চাইলে এই কেয়ার ওয়ারকার ভিসা আবেদন করে নিতে পারবেন। তবে আপনাকে স্বাস্থ্য ভিসা তে যেতে হলে নার্স অথবা ডাক্তার হতে হবে। লন্ডন সরকার তাদের দেশের জনগণের একটা নির্দিষ্ট বয়সের পর নানা সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে।

তাছাড়া সেদেশের সরকার তাদের জনগণের চিকিৎসা দায়িত্ব ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দায়িত্ব নিয়ে থাকে। এর জন্য প্রতিবছর কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা তে শ্রমিক নিয়োগ দিয়ে থাকে। আরটিআর ওয়ার্কার ভিসা তে বেতনের পরিমাণ অনেক ভালো হয়ে থাকে। আপনি যদি লন্ডন কেয়ার ওয়ার্কার ভিসায় যেতে চান সেই ক্ষেত্রে আপনার বেতন পড়বে প্রায় ৫০০ ডলার। স্বাস্থ্যকর্মী ভিসায় গেলে আপনার বেতন পড়বে ২০০০ ডলার।

কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন

কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন করার জন্য প্রথমে আপনি কোন দেশে যাবেন সেই দেশ সিলেক্ট করতে হবে। দেশ সিলেক্ট করার পর তারপর আপনাকে ভিসা আবেদন করতে হবে। ধরেন আপনি ব্রিটেনের কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা নিয়ে যাবেন। সেক্ষেত্রে আপনাকে দালালের সহযোগিতা নিতে হবে অথবা গ্রিট অন্ড ইমিগ্রেশন ওয়েবসাইটে গিয়ে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদন করে নিতে হবে। কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা আবেদনের সুযোগ সুবিধা হল আবেদন করার সাথে সাথে আপনি রেসপন্স পাবেন।

এক্ষেত্রে ভিসা আবেদনের সাথে সাথেই তারা আপনাকে ২ মাসের সময় দিবেন। দুই মাসের মধ্যে সেদেশের মন্ত্রণালয়ের লোকজন আপনার ভিসা প্রসেসিং কমপ্লিট করে আপনাকে আসতে বলবে। এখানে কোন প্রকার ভোগান্তির শিকার হতে হয় না। আর যেহেতু বেতনের পরিমাণ ভালো তাই অনেকেই এই ভিসাতে যেতে আগ্রহী হয়ে থাকে।

Care Worker Visa UK

UK – তে কেয়ার ওয়ার্কার ভিসা তে শ্রমিক নিয়োগ দিচ্ছে। এখানে আপনি শ্রমিক হিসেবে যেতে পারেন আবার যদি আপনি নার্স অথবা ডাক্তার হয়ে থাকেন তাহলে আপনি স্বাস্থ্য কর্মী ভিসায় যেতে পারেন। করণা মহামারীর পর থেকে UK সরকার সেদেশে স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্ন কর্মী প্রতিবছর নিয়োগ দিচ্ছে। বাংলাদেশ থেকেও অসংখ্যা নার্স ও ডাক্তার স্বাস্থ্যকর্মী ভিসাতে ইউকে পাড়ি জমাচ্ছে। আর ইউ কে সরকার এখানে অনেক বেতন প্রদান করে থাকে।

যার কারণে বেশিরভাগ কর্মী সে দেশে যাওয়ার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকে। ২০২৩ সালের শুরুর দিকে প্রায় ১৩ হাজার কর্মী UK সরকার নিয়োগ দিবে। তাই আপনি যদি UK যেতে চান তাহলে অতিদ্রুত এ ভিসা তে আবেদন করে নিন। কেননা সুযোগ বারবার আসেনা। আর এখানে আপনার সর্বনিম্ন বেতন হবে ৫০ হাজার টাকা।

Read More 

অস্ট্রিয়া যেতে কত টাকা লাগে – অস্ট্রিয়া যাওয়ার উপায়

মালয়েশিয়া ফ্যাক্টরি ভিসা – ফ্যাক্টরি ভিসার বেতন কত

বেলারুশ কাজের ভিসা 2023 – বেতন কত ও কত খরচ হয়

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ – ভিসা আবেদনের নিয়ম

জাপান যেতে কত টাকা লাগে – জাপান কাজের ভিসা