কাঠ বাদামের উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

কাঠ বাদামের উপকারিতা – কাঠবাদাম পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি বাদাম। কাঠবাদাম সকলের কাছে সুপরিচিত একটি পুষ্টিকর খাবার। এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ বলে শেষ করা যাবে না। চিকিৎসকরা বলে থাকেন প্রতিদিন রাতে ভিজিয়ে রাখা কাঠবাদাম সকালবেলা খেলে সুস্থ থাকা যায়। কাঠবাদামের রয়েছে ভিটামিন ই , এ ও পটাশিয়াম এর উপাদান। কাঠবাদামের সবচেয়ে বড় উপকার হচ্ছে এটা মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।

মানুষের মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে কাঠবাদাম এর জুড়ি নেই। এছাড়াও এটি বিভিন্ন ভিটামিন সমৃদ্ধ হয় দেহকে রোগ বালাই হতে রক্ষা করে। এছাড়াও এটি ক্যান্সার কোষকে ধ্বংস করতে সহায়তা করে। কাঠ বাদামের মধ্যে ভিটামিন থাকে এটি চুলের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কেননা আমরা জানি ভিটামিন ই চুল পড়া রোধ করে এবং চুলকে সুন্দর ও ঝলমলে করে।

কাঠবাদাম শ্বাসতন্ত্রের জন্য অত্যন্ত উপকারী। কাঠবাদাম রক্তস্বল্পতা দূর করে , শ্বাসতন্ত্র ঠিক রাখে , কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে , হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এছাড়াও এটি চুল ও ত্বকের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেহেতু কাঠবাদামের ভিটামিন ও এ রয়েছে , ফলে মানুষের শরীরের ত্বক উজ্জ্বল ও সতেজ রাখে। কাঠ বাদামের পুষ্টিগুণ মানুষের বৃদ্ধ হওয়া রোদ করে।

Link – কালোজিরার উপকারিতা ও খাওয়ার নিয়ম

কাঠবাদামের উপকারিতা

  • কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। আর আমরা সকলে জানি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ-জীবাণু হতে রক্ষা করে। আর এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় এটি হৃদরোগ ও ক্যান্সারজাতীয় রোগের প্রতিরোধের জন্য খুবই উপকারী।
  • কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই বিদ্যমান থাকে। আর ভিটামিন মানুষের ত্বক ও চুলের জন্য খুবই উপকারী। বাজারে ভিটামিন ই ক্যাপ নামে ভিটামিন রয়েছে। ভিটামিন মানুষের ত্বক উজ্জ্বল করে এবং বুড়ো হয়ে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এছাড়া এটি মানুষের চুলকে উজ্জ্বল করে এবং চুল পড়া থেকে বিরত রাখে।
  • কাঠ বাদামে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে না। কিন্তু চর্বি ও ভিটামিনের পরিমাণ বেশি থাকে। যার ফলে ডায়াবেটিস রোগীর জন্য এটি একটি আদর্শ খাবার। যেহেতু এতে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ কম থাকে তাই এখানে সুগার নেই বললেই চলে।
  • বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীর দেহে সুগারের পরিমাণ বেশি থাকে। আর আমরা জানি ম্যাগনেসিয়াম সুগারের পরিমাণ কমায়। আর কাঠ বাদামে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে। যা মানবদেহের সুগার কমিয়ে থাকে।
  • কাঠবাদামের এমন এক উপকারী দিক রয়েছে যা শরীরের কোলেস্টরেল মাত্রা কমিয়ে থাকে। আর আমরা সকলেই জানি কোলেস্টরেল মানবদেহের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর।
  • দেহের ওজন কমাতে কাঠবাদাম অত্যন্ত কার্যকরী। কেননা কাঠবাদামে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরের পক্ষে ভাঙ্গা সম্ভব নয়। এর ফলে এর শক্তি উপাদান সরে তেমন জমা হতে পারেনা। যার ফলে শরীরের ওজন কমে যায়।

পেস্তা বাদামের উপকারিতা

কাঠ বাদামের দাম

250 গ্রাম কাঠ বাদামের দাম 225 টাকা।

500 গ্রাম কাঠ বাদামের দাম 450 টাকা।

1 কেজি কাঠ বাদামের দাম 900 টাকা।

কাঠবাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা

কাঠ বাদামের উপকারিতা ও অপকারিতা রয়েছে। এটি সাধারণত খাবারের ভিত্তিতে হয়ে থাকে। আমরা সকলেই জানি অতিরিক্ত কোন কিছুই ভাল নয়। তেমনি আপনি যদি প্রতিদিন অতিরিক্ত কাঠবাদাম খেয়ে থাকেন তাহলে আপনার সমস্যা হতে পারে। কেননা কাঠ বাদামে রয়েছে চর্বি। এখন আপনি যদি পরিমিত পরিমাণে কাঠবাদাম খান তাহলে সে চর্বি আপনার শরীর কাজে লাগবে।

আর যদি আপনি পরিমিত পরিমাণে কাঠবাদাম নাখাম তাহলে সেটা আপনার শরীরে ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াবে। কেননা অতিরিক্ত চর্বি জমা থাকে। এর ফলে মেদ বৃদ্ধি পায়। ফলে মানব দেহে নানা ধরনের রোগ-জীবাণু তে আক্রান্ত হয়। ফল আমাদের নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এর জন্য পরিমিত পরিমাণে কাঠ বাদাম খাবেন।

কাঠবাদাম খাওয়ার নিয়ম কি

একেকজন একেক ভাবে কাঠ বাদাম খেয়ে থাকে। তবে কাঠবাদাম খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। আপনি যদি সে নিয়ম গুলো সঠিকভাবে মেনে চলুন , তাহলে আপনি কার্যকর ফলাফল পাবেন। আপনি যদি প্রতিদিন এক মুঠো করে কাঠবাদাম রাতে ভিজিয়ে রাখেন এবং সকালে তা খেয়ে নেন তবে সবচেয়ে বেশি উপকার পাবেন। এতে করে কাঠবাদাম আরো পুষ্টিগুণসম্পন্ন হয়ে ওঠে। এছাড়াও আপনি সকালবেলা 8 থেকে 9 টা বাদাম খেয়ে নিতে পারেন।

গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদামের উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় কাঠ বাদামের উপকারিতা অনেক। কেননা গর্ভবস্থায় মানব শরীরে অনেক পুষ্টির প্রয়োজন পড়ে। আর আমরা জানি কাঠবাদাম অত্যন্ত পুষ্টিগুণসম্পন্ন একটি খাবার। কাঠবাদামের রয়েছে ভিটামিন ই , ভিটামিন এ , ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম এর উপাদান। মানব শরীরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর যেহেতু বাচ্চার সুস্থতার জন্য এক্সট্রা পুষ্টিগুণ প্রয়োজন। সেতু কাঠবাদাম গর্ভাবস্থার জন্য অত্যন্ত উপকারী।

শীতে ত্বকের যত্ন – জেনে নিন ডাক্তারদের দেয়া ঘরোয়া টিপ্স