আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ – ভিসা আবেদনের নিয়ম

প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য ছাত্র ছাত্রী স্টুডেন্ট ভিসায় আমেরিকা পড়াশোনা করতে। আমরা সকলেই জানি আমেরিকায় পড়াশোনার মান অত্যন্ত উন্নত। যার ফলে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অসংখ্য মানুষ আমেরিকায় পাড়ি জমায় পড়াশোনা জন্য। আমেরিকার তুলনায় বাংলাদেশের পড়াশোনা 200 বছর পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের পড়াশোনা অতি নিম্নমানের হয় ধনী ব্যক্তিরা তাদের সন্তানদের আমেরিকায় পাঠায় পড়াশোনা করতে।

আপনারা যারা আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় যেতে চাচ্ছেন আজকের পোষ্টটি আমি তাদের জন্য অত্যন্ত সুন্দর ভাবে সাজিয়েছে। আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় যাওয়ার পূর্বে জানতে হবে স্টুডেন্ট ভিসার খরচ কত হবে। আর জানতে হবে কিভাবে ভিসার আবেদন করতে হয়। সবকিছু যদি আপনার সঠিকভাবে জানা থাকে তাহলে আপনার কোন সমস্যা হবে না।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা খরচ

আমেরিকার স্টুডেন্ট ভিসা খরচ নির্ভর করে স্কলারশিপের উপর ও আপনি যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে যাচ্ছেন সে প্রতিষ্ঠান উপর। তবে এক্ষেত্রে একটা সুবিধা আছে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় গেলে আপনি পড়াশোনার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় পাবেন। তারা যে স্কলারশিপ দিয়ে থাকে তাতে আপনার খরচের পরিমাণ কমে যাবে। নিচে থেকে ভিসা খরচ দেখে নিন।

>> আপনি যদি কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য সিলেক্ট হয়ে থাকেন তাহলে তারা 28 দিনের মধ্যে মেইল করে জানিয়ে দিবে। আর এর জন্য আপনার খরচ হবে বর্তমান নিয়ম অনুসারে $5000 থেকে $600.

>> কনফার্মেশন লেটার আপনার হাতে আসলে তখন আপনাকে সার্ভিস চার্জ দিতে হবে $300.

>> এরপর আপনাকে এম্বাসি ফি দিতে হবে $200.

>> এরপর আপনার ভিসা আবেদন সহ সব মিলিয়ে খরচ পড়বে $ 900 থেকে $1000.

করণা মহামারীর কারণে সব কিছুর মূল্য বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য খরচের পরিমাণ সামান্য কিছু বেড়ে গিয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানের ধরণ অনুযায়ী আপনার খরচ এর থেকে একটু কম বেশি হতে পারে।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় সাধারনত দুই ধরনের হয়ে থাকে। এই দুই ধরনের ভিসার মধ্যে একটি হলো f1 ভিসা আর অন্যটি হলো M1 ভিসা। এটা অনেকেই জানে যে f1 ভিসায় সবচেয়ে বেশি স্টুডেন্ট আমেরিকা যায়। f1 ভিসা হল স্টুডেন্টদের পড়াশোনার জন্য ভিসা। আপনার ক্লাস টাইম যদি 12 ঘন্টা থেকে 18 ঘন্টা হয়ে থাকে তাহলে আপনি f1 ভিসায় আমেরিকা যেতে পারবেন।

M1 ভিসায় আমেরিকা যেতে চাইলে আপনি যেতে পারবেন। সাধারণত যারা প্রফেশনাল ডিগ্রী নিতে চায় এবং সেখানে স্থায়ী হতে চায় সেক্ষেত্রে তারা এই ভিসা নিয়ে থাকে। এই ভাষাকে বলা হয় প্রফেশনাল ডিগ্রী ভিসা।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের নিয়ম

বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসায় পৌঁছে দেওয়ার জন্য স্কলারশিপ নিয়ে যাওয়ার সবচেয়ে ভাল। কেননা এটা অনেকের জানা আমেরিকায় লিভিং কস্ট অত্যন্ত বেশি। যার ফলে খরচের পরিমাণ বেশি হয়ে যায়। এক্ষেত্রে আপনার যদি স্কলার্শিপ থাকে সে ক্ষেত্রে ভার্সিটিতে আপনার তেমন খরচ হবে না বললেই চলে।

আর যদি আপনার স্কলারশিপ না থাকে সে ক্ষেত্রে আপনার ব্যয় বহুল খরচ হবে। আর স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আমেরিকায় সাত থেকে আটটি বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেগুলোতে স্কলারশিপ দেওয়া হয়। আরন্য গুলোতে আপনাকে খরচ বহন করে পড়াশোনা করতে হবে। তাই স্কলারশিপ নিয়ে ভিসা আবেদনের চেষ্টা করবেন।

আবেদনের জন্য এখন আর এম্বাসির সাথে আলাপ আলোচনা করার প্রয়োজন নেই। আপনি চাইলে অনলাইনের মাধ্যমে ফ্রিতে ঘরে বসেই আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করার 28 দিনের মধ্যে তার আপনাকে জানিয়ে দিবে আপনি সেখানে সিলেক্ট হয়েছেন কিনা।

আমেরিকা স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র

> উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট বা অনার্স সার্টিফিকেট – IELTS/ TOFEL সার্টিফিকেট। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রে IELTS/ TOFEL না থাকলেও সমস্যা হয় না কারন এটা এম্বাসির আরোপিত কোন শর্ত নয় বরং ইউনিভার্সিটির শর্ত।

> স্কলারশীপের ক্ষেত্রে অনার্সের রেজাল্ট বা IELTS এর রেজাল্ট খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যাদের IELTS এ ৬.৫ রেজাল্ট থাকে তারা সহজেই ভালো ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স এর সুযোগ পেয়ে যান সাথে স্কলারশীপ পাওয়ার চান্স ও অনেক বেশি থাকে।

> স্টুডেন্ট ভিসায় পড়তে যাওয়ার জন্য আপনার বাবা, মায়ের ব্যাংক একাউন্টে ৩০ থেকে ৩৫ লক্ষ টাকা জমা দেখাতে হবে। যেহেতু আমেরিকায় লিভিং কস্ট অনেক বেশি তাই এই ব্যাংক স্টেট্মেন্ট দেখানোর মাধ্যমে এম্বাসি নিশ্চিত হবে আপনি সে দেশে গিয়ে নিজের লিভিং কস্ট চালানোর মত ক্ষমতা আছে।

Read More

মালয়েশিয়া কাজের বেতন কত ও কত লোক নিবে

মালয়েশিয়া ভিসা চেক করার নিয়ম

সৌদি এয়ারলাইন্স টিকেট চেক করার নিয়ম