প্রকৃতির প্রতি আমাদের ভালোবাসা চিরন্তর। কেননা প্রাকৃতিক সৌন্দর্য কে না উপভোগ করতে চায়। সবার প্রকৃতিতে হারিয়ে যেতে চাই। কেননা প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদেরকে সর্বদাই আকর্ষণ করে থাকে। যার কারণে প্রকৃতির প্রতি আমাদের দুর্বলতা কাজ করে। আর কিছু করার তৈরি সেই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমাদের চোখ জুড়িয়ে যায়। এই পোস্টে আমরা প্রকৃতি নিয়ে উক্তি, স্ট্যাটাস, কবিতা ও ক্যাপশন তুলে ধরেছি।
এখানে যা যা পাবেন
প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
১. প্রকৃতিকে খুব ভালোবাসি তাই প্রকৃতির সাথে আমার বসবাস, সুযোগ পেলে ঘুরে বেড়াই আমি আনাচে কানাচে খুজি নির্মূল বাতাস।
২. প্রকৃতিকে উপভোগ করি স্বতঃস্ফুত ভাবে মনের আবাসে, তাই ভ্রমণ করি আমি প্রকৃতিকে গভীর ভালোবেসে।
৩. নিরিবিলি শান্ত পরিবেশ থেকে পায় আমি মনে শান্তি, যতই কাজ করি না কেন বোধ করি না কখনোও ক্লান্তি।
৪. ভালো লাগে আমার পাহাড়-পর্বত ও বন-বনানী, তাই প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাকে দেয় বারেবারে হাতছানি।
৫. প্রতিদিন লিখি আমি কবিতা পর্যবেক্ষণ করি আমি অনেক কিছু, প্রকৃতি নিয়ে বেশি লিখি কবিতা তাই থাকি প্রকৃতির পিছু পিছু।
৬. নির্জন কোলাহলমুক্ত পরিবেশে কত কথা ভেবে থাকি, কবিতায় কি বিষয় নিয়ে লিখব তাই ভাবনায় নিজেকে ব্যস্ত নাকি।
৭. সবুজে সবুজে ঘেরা তরুবর বহে নির্মল বাতাস, অহরহ চলে মেঘেদের খেলা মুড়েছে নীল আকাশ। ঝির ঝির বৃষ্টি পড়ে জল কোলাহলে বয়, ভ্রমর ফুলে মিতালী হয়ে মনের কথা কয়।
৮. নদী-খাল, পুকুর-ডোবা সবই মোর জানা ওরা যে থাকে আপন খেয়ালে কেউ করে না মানা। গাছের ডালে ঘর বেঁধে পাখি করেছে বাস আনাচে কানাচে প্রকৃতি ওড়ায় মিষ্টি সুভাষ।
৯. দিনে সূর্য রাতে চাঁদ তারাদের কত মেলা জন্ম মৃত্যু হাসি কান্না নিত্য নাটের খেলা। মাটির পরে আঁকড়ে ধরে শুকনো পাতার দল, কালের চক্রে সৃষ্টি ধ্বংস প্রকৃতি, করছে অবিচল।
১০. প্রকৃতি তুমি অপরূপে সুন্দরী তোমারি রূপে হচ্ছি মুগ্ধ, তাই তো অনুভব করছি তোমার কোমলতার কোমলতার সিকগ্ধ।
সবুজ প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
১১. হালকা বাতাসে নদীর তীরে বসে আছি বন্ধুগণে ভাবছি তোমায় দেখে সৃষ্টিকর্তা যেন বানিয়েছে তোমায় আপন হাতে।
১২.প্রকৃতি অপার চিরসবুজ যে সত্য প্রয়াস সর্বদিস্ত সে প্রাণ ময়, সে যে চিরন্ত তাকে নিয়ে লিখছি আজ কবিতা।
১৩. এই যে নদীর পানি দেখি দূর আকাশ, আর সবুজ ফসলের মাঠ সব মিলে তোমার উপন্যাস।
১৪. তুমি হলে রুপের রানী সবাই তোমার প্রজা, তুমি হলে পথের রানী আমরা হলাম দিশা।
১৫. কত পর্যটক আসে তোমার ভ্রমণ করতে তাই তো বলতে চাই যে তুমি সৌন্দর্যের প্রজারি বাংলাদেশের প্রকৃতি।
১৬. প্রকৃতি নিত্য ময়, সে নিত্য পাগল তার কোন মৃত্যু নেই প্রকৃতির রস আছে নিত্য ধারায় মানুষকে দিবে তৃপ্ত স্বাদ।
১৭. সে বড়ই ভাগ্যবান তাকে নিয়ে হয় কাব্য রচনা প্রকৃতির লিলির দূর্বাশ ভিজে মাটিতে বইছে তার সুবাস তারা যেন আজ ধ্বংস এর পথে।
১৮. চারদিকে শান্ত সন্ধ্যা ভিজে গন্ধ মৃদু কলরব খেয়া নৌকা গুলো এসে লেগেছে চরের খুব কাছে, পৃথিবীর এই সব গল্প বেঁচে রবে চিরকাল এশিরিয়া ধুলো আজ ব্যবিলন ছাই হয়ে আছে।
১৯. আমি রোদে পুড়বো, বৃষ্টিতে ভিজবো, ফুল হয়ে ফুটবো, পাখি হয়ে উড়বো। আমি প্রকৃতি হব আমি জোসনার সৌন্দর্যের অবগানে সিক্ত হব।
প্রকৃতি নিয়ে কবিতার লাইন
২০. আমি চৈত্রের পূর্ণিমা রাতে বসে বসে শুকতারা গুনবো, আমি প্রকৃতি হব। আমি নদীর উপর কল্পনার ঘর বানাবো আমি হংস মিথুনের মত ভেসে বেড়াবো।
২১. ওই এলো বৈশাখ ওই নামে গ্রীষ্ম, খাই খাই রবে যেন ভয়ে কাঁপে বিশ্ব! চোখে যেন দেখি তার ধুলি মাখা অঙ্গ বিকট কুটিলজটে ভ্রুকুটির ভঙ্গ।
২২. শহরে শহরে মানুষেরা করে বহু রূপের কাজ তাদের মনে থাকে সদা ভয় সদালাস, প্রকৃতির কথা সুন্দর দৃশ্য দেখতে ভালো লাগে। আকাশে সূর্য ঢেকে থাকে সাদা কালো মেঘে।
২৩.আকাশে সূর্য ঢেকে থাকে সাদা কালো মেঘে, আকাশে উড়ে বেড়ায় ছোট ছোট পাখির দল তাই আমাদের বিদ্যালয় করে সবসময় ঝলমল।
২৪. প্রকৃতি পৃথিবীতে এসেছে মরে যেতে হবে ভেবেছো একবারও, কোথাও লাগলে ঝগড়া ওখানে গিয়ে বল সবার আগে মারো।
২৫. খিদা লাগলে বাসায় গিয়ে খেতে লাগো ভাত পৃথিবীতে করলে ভালো কাজ পরকালে পাবে জান্নাত। জগতে আছে নানান রকমের বহু বহু কবি তাদের কথা মনে আসে হৃদয়ে আসে তাদের ছবি।
২৬. জগতে আছে অনেক রকমের ফুল একটির নাম বেলি সকাল থেকে বিকাল বিদ্যালয়ে আমরা অনেক রকমের খেলা খেলি।
২৭.ওই যে দূরে জলের ধারে পাঠ্য উরি একা, দিচ্ছে না ডাক পাখির সে যাক আমার চোখে দেখা। কোথায় আছে গাছে গাছে মুনি টিয়ার দল, নেই তো এরা বিশ্বসেরা মন পড়ে চঞ্চল।
প্রকৃতি নিয়ে কবিতা ক্যাপশন
২৮. হে প্রকৃতি প্রাণের প্রকৃতি তোমাকে জানাই মনের সকল আকুতি, দুঃখ বেদনা ভরা মন নিয়ে যেতে চাই না ত্রিভুবন ছেড়ে।
২৯. যখনই সতেজ সবুজ পাতার উপর পড়ে শীতের শিশির মনটা আমার হয়ে উঠে অশান্ত ও অস্থির। আহা কতই না লাগে ভালো দেখতে এই দৃশ্য, হে প্রকৃতি মা হতে চাই কেবল তোমারি শীর্ষ।
৩০. যখনই তোমার সান্নিধ্য খুঁজে পাই কোথায় যেন এক হারিয়ে যায়, সবুজ গাছ সবুজ মাঠ যেন আমায় ডেকে বলে এস প্রকৃতি মায়ের কোলে।
৩১. এ প্রকৃতি মা যখনই তোমার কথা আসে মনে, মনটা আমার ছুটে সুদূর প্রাণে। হে প্রকৃতি মা তখনই নিজেকে মনে করব ধন্য, যখন তুমি আমাকে বন্ধু হিসেবে করবে ধন্য।
৩২. দেখব আমি চাঁদের পাহাড় ইচ্ছে ছিল মনে, যাব চলে দূর দিগন্তে যাব পারুল বনে। দেখব আমি মেঘের খেলা নয়ন মিলে সারাবেলা।
৩৩. মেঘের কোলে বাসবো আমি নীল আকাশের গায়ে ভাবনা যে হয় আমার ফুল পরীকে দেখার বন পরী আর রানী পরীর মায়া জাদু শেখার।
৩৪. লাগে ভালো গভীর বনে আলো-আঁধারি দিন, দেখতে চাই সেই বনানী আলো যখন খীন। দেখব আমি আশায় ভরা একটা দিন উজ্জ্বল, অন্ধকারের গহীন রাতে যেমন তারারা ঝলমল।
৩৫. খেলাঘর পাতা আছে এই এখানে, স্বপ্নের ঝিকিমিকি আঁকা যেখানে। এখানে রাতের ছায়া ঘুমের নগর, চোখের পাতায় ঘুম ঝরে ঝরঝর।
৩৬. আমি প্রকৃতির প্রকৃতি আমার আমি প্রকৃতির পূজারী প্রকৃতি আমার পূজারী, আমি প্রকৃতি থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করি বিনিময়ের কার্বন ডাই-অক্সাইড প্রদান করি। প্রকৃতি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে আমরা পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করি। প্রকৃতি যেটা করে আমরা সেটা করি না। প্রকৃতি আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে চেষ্টা করে আমরা স্বার্থ ছাড়া কিছুই করি না।
৩৭. আমি বেশি দূর যেতে পারিনি আমি শহরও দেখিনি সাগরও দেখিনি আমি মানুষ দেখেছি অমানুষও দেখেছি গ্রাম বাংলার ওই রুপ দেখেছি সবুজ আমার পিছু পিছু ছুটেছে তা দেখেছি।
পাহাড় প্রকৃতি নিয়ে কবিতা
৩৮. আবার এসেছে আশার আকাশ ছেয়ে, আসে বৃষ্টির সুবাস বাতাস বেয়ে। এই পুরাতন হৃদয়ে আমার আজি পলকে দুলিয়া উঠেছে আবার বাজি, নতুন মেঘের ঘনিমার পানে চেয়ে আবার এসেছে আশাঢ আকাশ ছেয়ে।
৩৯. রহিয়া রহিয়া বিপুল মাঠের পরে নব তৃণ দলে বাদলের ছায়া পড়ে। এসেছে এসেছে এই কথা বলে প্রাণ, এসেছে এসেছে উঠিতেছে এই গান, নয়ন এসেছে, হৃদয়ে এসেছে ধেয়ে। আবার আশাঢ এসেছে আকাশ ছেয়ে।
৪০. আকাশে বাতাসে আজ বারুদের গন্ধ, কারখানা আর মোটর গাড়ির ধোঁয়া, সাগর নদীর জল হারিয়েছে চিরচেনা ছন্দ। পদ্মা, মেঘনা, যমুনা, তিস্তা, করোতোয়া।
৪১. এ মানবজাতি বাঁচাও প্রকৃতিকে রক্ষা করো পরিবেশ জীবন বৈচিত্র করো না বিলীন অবহেলা করিও না প্রকৃতিকে ভাবিও না পর ক্ষুদ্র স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে হও বিসর্জন দিয়ে হও শঙ্কাহীন।
৪২. হে প্রকৃতি! কি তোমার রূপ! কি তোমার লীলা খেলা.. তোমায় নিয়ে ভাবতে ভাবতেই কেটে যায় সারা বেলা। তুমি তো মোরে করেছ পূর্ণ, করেছ বেগমান। তাইতো তোমায় নিয়ে লিখতে ইচ্ছে করে কবিতা আর গান।