গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি

গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি? – গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশের একটি ক্ষুদ্র ঋণ প্রদানকারী সংস্থা। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম ডঃ ইউনূস গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ডক্টর ইউনুস গ্রামের গরিব মানুষদের ছোট ছোট ঋণ দানের মাধ্যমে তাদেরকে স্বাবলম্বী করার প্রচেষ্টায় নামে।

গ্রামীণ ব্যাংক সাধারণত ভূমিহীন এবং দরিদ্র মানুষদের ঋণ প্রদান করে থাকে। এ ঋণের মাধ্যমে গরিব মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়। এর ফলে দরিদ্র মানুষ স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। এই ব্যাংক ১৯৭৬ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। এটি বৈধ ও স্বতন্ত্র ব্যাংক হিসেবে ১৯৮৩ সালে যাত্রা শুরু করে।

Link – ডায়াবেটিস কমানোর উপায়

 

গ্রামীণ ব্যাংকের হাত ধরেই ক্ষুদ্রঋণ শুরু হয়। এসকল ক্ষুদ্রঋণ প্রথমে গ্রামের কৃষক ও দরিদ্র নারীদের দেয়া হয়। গ্রামের দরিদ্র নারীরা যখন ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের কাজ শুরু করলো, তখন থেকে গ্রামের দরিদ্র নারীদের স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা শুরু করলো। আস্তে আস্তে ঋণ দরিদ্র কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।

দরিদ্র কৃষকরা ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তারা তাদের চাষাবাদ শুরু করে দেয়। একটা সময় তারা চাষাবাদে সফল হয়। তারা তাদের ফসল বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ করে এবং তারা স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। যখন গ্রামের কৃষক ও স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা শুরু করলো, তখন গ্রামের অবস্থা পরিবর্তন হওয়া শুরু করল।

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক সারা বাংলাদেশে ছড়িয়ে পড়েছে। সারা বাংলাদেশের গ্রামীণ ব্যাংকের শাখা রয়েছে। শাখাগুলো গ্রামের মানুষদের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র ঋণ দিয়ে থাকে। ফলে গ্রামের মানুষ তাদের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারতেছে। এ ঋণ এর ফলে তারা স্বাবলম্বী হয়ে উঠছে।

গ্রামীণ ব্যাংক শিক্ষা সম্প্রচারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশের মানুষদের শিক্ষার সম্প্রসারণ এ ব্যাংক সর্বপ্রথম এগিয়ে আসে। প্রথমে তারা গ্রামে তাদের প্রভাব বিস্তার করে। আস্তে আস্তে তারা শিক্ষা ঋণ দেয়া শুরু করে। এমনকি গ্রামের মানুষদের শিক্ষাবৃত্তি দিয়ে পড়াশোনা করতে উৎসব করে তুলে।

গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি

অনেকেই প্রশ্ন করে থাকে গ্রামীণ ব্যাংক কি সরকারি? প্রথমে গ্রামীণ ব্যাংক ছিল মালিকানাধীন। ডক্টর ইউনুস গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করত। কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংকের সফলতা দেখে বাংলাদেশ সরকার এর ওপর হস্তক্ষেপ শুরু করে দেয়। সরকার গ্রামীণ ব্যাংকের দায়িত্ব নেয়ার জন্য তৎপর হয়ে পড়ে।

বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের অধীনে রয়েছে। বাংলাদেশ সরকার গ্রামীণ ব্যাংক পরিচালনা করে থাকে। তবে ডক্টর ইউনুস কে এখানে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। কেননা তিনি সর্বপ্রথম গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন। তবে কিছু কিছু মানুষের ধারণা, সরকারের অধীনে থাকার ফলে গ্রামীণ ব্যাংক ধ্বংস হয়ে যাবে।

Link – খাদ্য অধিদপ্তর নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০২১

 

তবে বর্তমানে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে তেমন একটা উন্মাদনা নাই। 90 দশকের দিকে গ্রামীণ ব্যাংকের অনেক কদর ছিল। তখন গ্রামীণ ব্যাংক সব সময় চর্চায় থাকতো। কেননা এ ব্যাংকের ঋণের মাধ্যমেই গ্রামের মানুষ সফলতা লাভ করে। এমনকি আস্তে আস্তে তারা তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে থাকে।

কিন্তু বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের এনজিও এবং সরকারের তৎপরতার কারণে গ্রামীণ ব্যাংক নিয়ে এখন তেমন আলোচনা হয় না। গ্রামীণ ব্যাংক বর্তমানে মানুষের আলোচনার বাইরে। তবে গ্রামীণ ব্যাংক কৃষকদের ঋণ দেওয়ার কারণে শহরের মানুষ স্বাচ্ছন্দে থাকতে পারতো।

কেননা গ্রামীণ সমাজের মানুষের চাষাবাদ করা ফসল শহরে যেত। ফলের মানুষের পেট ভর্ত। কিন্তু বর্তমানে গ্রামের মানুষের কোন মূল্য দেয়া হয় না। এমনকি কৃষকদের কোন মূল্য দেয়া হয় না। যার কারণে বাংলাদেশের কৃষক এখন অবহেলিত। কিন্তু একটা সময় কৃষকদের অনেক মূল্য ছিল।

গ্রামীণ ব্যাংক কি এনজিও

গ্রামীণ ব্যাংক যখন তাদের যাত্রা শুরু করে তখন এটি এনজিও আকারে ছিল। প্রথমে এটি এনজিও আকারে বিস্তার লাভ করে। আস্তে আস্তে এর প্রভাব বাংলাদেশ ব্যাপী বিস্তার লাভ করতে থাকে। বর্তমানে সারা বাংলাদেশে এর প্রভাব রয়েছে। কেননা সারা বাংলাদেশ এর শাখা প্রশাখা রয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক কোন সরকারি ব্যাংক। ডঃ ইউনূসের তৈরি করা এ ব্যাংক মালিকানাধীন। তবে বাংলাদেশ সরকার এর ওপর দিনদিন প্রভাব বিস্তার করেছে। একটা সময় দেখা যাবে এ ব্যাংক বাংলাদেশ সরকারের অধীনে চলে গেছে।