শিক্ষনীয় বিষয় – যৌবনের শিক্ষনীয় বিষয়

জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত প্রতিটি মানুষের জীবনে শেখার কোন শেষ নেই। চলার পথে সময় মানুষকে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে কিংবা অবস্থা ভেদে কোন না কোন কিছু নতুন করে শেখায়। বিভিন্ন বিষয়াদি শেখার পথে কখনো কখনো পরাজইয়ের শিকারও হতে হয়। যদি কোন বিষয় সম্পর্কে পূর্বে থেকেই জ্ঞান থেকে থাকে তবে সেক্ষেত্রে কিন্তু পরাজিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না।

তাই আমরা আজকের এই বিশেষ পোস্টটিতে আপনাদের সাথে জীবনের কিছু শিক্ষানীয় বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আশা করা যায় এসব বিষয় ফলো করে জীবন- যাপন করলে অবশ্যই ভবিষ্যতে কোন বিষয়ের উপর পরাজয়ের স্বীকার হতে হবে না। তাহলে চলুন সময় নষ্ট না করে আজকের শিক্ষণীয় বিষয় গুলোতে সময় ব্যয় করা যাক।

শিক্ষনীয় বিষয়

মানুষের জীবন প্রবাহমান নদীর ধারা মত। নদীর ধারা গুলো যেমন চলার পথে বাধার সম্মুখীন হলে বিকল্প ভাবে তা সম্পাদন করে। মানুষের জীবনে বিভিন্ন বাধা-বিপত্তি আসলে তবে সে ক্ষেত্রে কোন না কোন রাস্তা বের করে নেয়। আজকের এই পোস্টটিতে জীবনের অনেকগুলো শিক্ষণীয় বিষয়গুলো কয়েকটি ধাপে ধাপে আপনাদের কাছে প্রকাশ করতে যাচ্ছি।

জীবনের শিক্ষনীয় বিষয়

জীবনের পথচলার মাঝেও অনেক শিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সম্পূর্ণ বিস্তারিত ভাবে প্রকাশ করার ক্ষেত্রেই সম্ভব নয়, তাই অল্প করে আমরা বিশেষ বিষয়গুলো তুলে ধরলাম। আশা করি আপনাদের জীবনে এই বিশেষ দিক গুলো কাজে লাগবে।

খালি পকেট আর বেকার জীবনটা, জীবনের যে শিক্ষা দিয়ে থাকে।

সেই শিক্ষা পৃথিবীর কোন বইয়ের ধারা পাওয়া সম্ভব নয়।

 

বড় চিন্তার মাধ্যমে বড় কিছু সম্পর্কে ভাবা যায়।

ছোট চিন্তার মাধ্যমে কখনো,

বড় কোনো কিছু কল্পনা করা সম্ভব হয়না।

 

সকলে শুধু পথের সন্ধান দিতে পারবে।

কিন্তু পথচলার মাঝে হোঁচট খেয়ে

বাকিটা নিজে থেকেই শিখে নিতে হবে।

 

কোন কাজ সম্পন্ন করার আগেই

তারা সবসময় অসম্ভব বলে মনে হয়।

কিন্তু সম্ভব এর পর তা সহজের অনুভূতি দেন।

 

কোন সমস্যা কখনো থামিয়ে দেওয়ার জন্য আসেনা।

সমস্যা আছে নতুন পথে নিজেকে চালনা করার জন্য।

 

তোমার জন্মের আগে অনেক বছর কেটে ছিল তুমি ছিলে না।

তোমার মৃত্যুর পরে অনেক বছর কেটে যাবে তখন তুমি থাকবেনা।

থাকা না থাকায় লড়াইয়ে মানব জীবনে উন্নতি নয় কল্যাণ মূলক কাজই শ্রেয়।

যেমনটা করেছেন বিভিন্ন মনীষীগণ।

 

সম্পূর্ণরূপে কথা শিখতে দুই বছর সময় লাগতে পারে।

কিন্তু কোন কথা কোথায় বলতে হবে সেটি শিখতে

একজন মানুষের সম্পূর্ণ জীবন লেগে যায়।

 

বুদ্ধিমান না কখনো পিছিয়ে থাকে না

শুধু অপেক্ষা করে সঠিক সময়ে

সঠিক কাজটি সম্পাদন করতে।

 

Link: ইসলামিক নাম ছেলেদের অর্থসহ

যৌবনের শিক্ষনীয় বিষয়

এই সময়ে অনেক কিছুই থাকে নতুন করে শেখার। এই সময়গুলোতে বিভিন্ন বিষয়ের উপর শিক্ষা দেওয়ার মত ব্যক্তি খুঁজে পাওয়া যায় না বললেই চলে। তবে যাদের জীবনে এই সময়ে শিক্ষা দেওয়ার মত ব্যক্তি থাকে তারা পরবর্তীতে তার উপদেশ মানলে ভবিষ্যতের জন্য ভালো কিছু অর্জন করতে পারে। উক্ত সময়ে অল্প কিছু শিক্ষণীয় বিষয় তুলে ধরলাম।

১। যৌবনের ব্যয় করা সকল কাজের বিনিময় পরবর্তী সময়ে পাশে পাওয়া যায়। যদি ভাল কাজ যৌবনে করা হয়ে থাকে তবে তার ফলাফল পরবর্তীতে ভালো পাওয়া যাবে। আর মন্দ হলে আর ফলাফলও পক্ষান্তরে মন্দ হবে।

 

২। ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে যৌবনের আমলগুলো মহান রাব্বুল আলামিন সবথেকে বেশি পছন্দ করেন এবং এর ফজিলত অন্যসব সময়ের আমল থেকে অত্যাধিক প্রদান করেন। তাই যৌবন সময়ে বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিতে মশগুল থাকুন।

 

৩। যৌবনে কষ্ট হলেও কখনো নিজের শরীরের সাথে জুলুম করবেন না নয়তো পরবর্তীতে এই বিষয়টি হাজারো কামনার সম্মুখিন করবে।

 

Link: গভীর প্রেমের কবিতা

জীবনের শিক্ষনীয় উক্তি

১। জেগে উঠ এবং লক্ষ্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত থামিওনা।…( স্বামী বিবেকানন্দ )

২। সাহস হল ভয়কে প্রতিরোধ করা, ভয়কে আয়ত্ত করা- কিন্তু ভয়ের অনুপস্থিতি নয়।…( মার্ক টোয়েন )

৩। সাহস নিয়ে বেঁচে থাকো নয় হয় মরে যাও।…( মেরিডিথ )

৪। মনুষ্যত্বের শিক্ষাটাই চরম শিক্ষা আর সমস্ত টাই  অধীন।…( রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর )

৫। সন্দেহপ্রবণ লোকেরা ধীরে ধীরে নিঃসঙ্গ হয়ে পড়ে।…( জন পুল )

৬। কাউকে হারিয়ে দেওয়াটা খুবই সহজ। কিন্তু কঠিন হল কারো মন জয় করা।…( ডঃ এ. পি. জে. আবদুল কালাম )

৭। যে ব্যক্তি আল্লাহর ওপর প্রবল বিশ্বাষ রাখে, আল্লাহ তাআলার তার ইচ্ছার অপূর্ণ থাকেনা।…( হযরত ওমর রাঃ )

৮। তোমার যত  ক্ষুদ্র হোক তা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করো আর পুণ্য যতই ক্ষুদ্র হোক তা আমল করার চেষ্টা করো।…ইমাম গাজ্জালী রহঃ

৯। বাইরের শুধু আমার কি ক্ষতি করবে? যখন আমার সব থেকে বড় শত্রু আমার নফস।…ইবনে তাইমিয়া রহঃ

১০। জ্ঞানী হও তবে অহংকারী হইও না। এবাদত করো তবে লোক দেখানোর উদ্দেশ্যে নয়।…ইবনে তাইমিয়া রহঃ