কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা- সম্মানিত পাঠকবৃন্দ, আসসালামু আলাইকুম। আশা করি আপনারা সবাই ভাল আছেন। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরাও ভালো আছি। আজকে আমাদের মূল বিষয়টি হচ্ছে কিসমিস নিয়ে। আমাদের মধ্যে কেউ শেষমেষ পছন্দ করে সেরকম লোক নেই বললেই চলে। তাই আজকে আমরা জানবো কিসমিস নিয়ে সেইসব উপকারী দিকগুলো, যেগুলোর মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন সুস্থ সবল থাকার বিশেষ দিক গুলি।
এখানে যা যা পাবেন
কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা
কিসমিস একজন মানুষের শুধু একটি না অনেকগুলো দিক থেকে সুস্থতার জন্য সাহায্য করে থাকে। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরের মধ্যে অনেক ক্ষয়পূরণ দিক গুলি সঠিকভাবে পূরণ করা সম্ভব। এর উপকারী দিকগুলো এ পরিমাণে যে সবগুলো বলে শেষ করা যাবে না। তবে আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা কিছু মেজর দিকগুলো নিয়ে আলোচনা করব। তাহলে চলুন কথা না বলে আজকের মূল বক্তব্যে চলে যাওয়া যাক।
রোগ প্রতিরোধে কিসমিস
কিসমিস অনেকগুলো রোগের প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে নিচে আমরা অল্প কিছু সংখ্যক রোগের কথা উল্লেখ করছি। সেইসাথে এর ব্যবহারবিধি ও তুলে ধরবো আপনাদের কাছে। তাহলে চলুন যাওয়া যাক রোগ প্রতিরোধক কাশ্মীর সম্পর্কে জানতে।
ডায়াবেটিস প্রতিরোধে কিসমিস
বর্তমানে ডায়াবেটিস সমস্যা বাংলাদেশের প্রায় প্রতিটি ঘরে ঘরে দেখা পাওয়া যায়। সমস্যা সমাধানের জন্য কিসমিসের খুবই উপকারী দিক রয়েছে। অনেক পরীক্ষাতে দেখা দিয়েছে এ কিসমিস খাওয়ার পরে সেটি শরীরের মধ্যে থেকে ঢাকা পোস্টপ্রান্ডিয়াল ইনসুলিন এর রেসপন্সকে কমিয়ে দেয়।
অতএব, এর থেকে একটি মানে প্রকাশ পাওয়া যায়, যে এটি দুপুরের নাস্তা ও রাতের নাস্তা করার পর শরীরের মধ্যে রোগীদের যে ইনসুলেন্সটি সৃষ্টি হয় । তা নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ফলে সেই ইনসুলেন্সটির বেড়ে যাওয়া বা অধিক কমে যাওয়াকে সমতাকরণ করে থাকে। তবে এতে কিছু বিশেষ দিনগুলো রয়েছে যেগুলো আমাকে জানতে হবে। সেটি হচ্ছে যেহেতু কিশমিশ মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য তাই এটি খুবই কম পরিমাণে খেতে হবে।
সেইসাথে আপনারা ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এটি সেবন করবেন। শুধু একটি দিক নয় সকল দিক থেকে আপনারা ইন্টারনেটে তথ্য শুধু চলবেনা । কারণ অসুস্থতার বিষয়টি সরাসরি ভাবে প্রকাশ করাটাই শ্রেষ্ঠ।
আমরা এর আগে ডায়াবেটিস কমানোর নিয়ম পোস্ট লিখেছি, ডায়াবেটিস কমানোর কত পাওয়ার জন্য নিচের লিংকে ক্লিক করে দেখে নিতে পারেন।
ক্যান্সার প্রতিরোধে কিসমিস
শরীরের মধ্যে অনেক রেডিক্যাল থাকে যা শরীরে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেসে বেড়ায় । স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভেসে বেড়ানো ফ্রি রেডিক্যালগুলো ক্যান্সারসেল এর সাথে মিশে গিয়ে ক্যান্সার সেলকে আরও সাহায্য করে থাকে। আর কিসমিস এর মধ্য এক ধরনের ক্যাটেচিন নামক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থেকে থাকে যেটি এই রেডিক্যাল গুলোর সাথে মিশে রেডিক্যাল গুলোকে শেষ করে দেয়। যার ফলে ক্যান্সার সেলগুলো বৃদ্ধির জন্য কোন প্রকার সাহায্য পায় না। আপনারা চেষ্টা করবেন নিয়মিত খাবারের সাথে, খেজুর খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করার।
চোখের জন্য কিসমিস
অনেকের কাছে বিষয়টি হাস্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু অনেকেই জানেননা যে কিসমিসের মধ্যে ( ভিটামিন- এ ) বিদ্যমান। আর আমরা জানি ( ভিটামিন- এ ) এর অভাবে মানুষ রাতকানা রোগে ভুগে থাকেন। তাই যাদের শরীরে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত লক্ষণ পাওয়া যায়, তারা নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন।
রো
গ প্রতিরোধে কিসমিস
কিসমিস এরমধ্যে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ও খনিজ এর মধ্য থেকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও বিভিন্ন রকমের যৌগ মিশ্রিত থাকে। যা শরীরের মধ্যে বিভিন্ন অসুখ-বিসুখ এর থেকে সাহায্য করে থাকে। সেইসাথে শরীরে ভিটামিনের পরিমাণ কম থাকলে কিসমিস তার অভাব পূর্ণ করে থাকে। তাই নিয়মিত খাবার এর পাশে কিসমিস খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়ে যাবে।
সুস্থতার জন্য কিসমিস
অসুস্থ ব্যক্তিরা জানে সুস্থতার মর্ম। তাই সুস্থ থাকতে আমাদের উচিত, সুস্থতার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ। কারণ সুস্থতার মাধ্যমে সুন্দর জীবন গড়ে ওঠে। কিশমিশের মধ্য থেকে থাকা গুনাগুন থেকেই, শরীরের মধ্য ক্ষয়পূরণ ও পুষ্টি সাধন হয়ে থাকে। তাই সুস্থতার জন্য নিয়মিত কিসমিস খাবেন।
ভালো ঘুমের জন্য কিসমিস
শরীরে আয়রনের অভাব দেখা দিলে অনেক সময় ঘুম ভালো হয় না। আর ঘুম ভালো করার জন্য নিয়মিত কিসমিস খেতে পারেন। কারণ কিসমিসের মধ্য প্রচুর আইরন থাকে। নিয়মিত কিশমিশ খাওয়ার ফলে শরীরে থেকে থাকা আয়রনের ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। ঘাটতি পূরণে ঘুম ভালো হয়। যার ফলে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সুস্থতা আসে।
কোষ্ঠকাঠিন্যতা কমায়
কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বর্তমানে অত্যাধিক। কারণ বেশিরভাগ মানুষই ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার কম খেয়ে থাকে। কিসমিসে মনের জাতীয় খাবার যার মাধ্য ফাইবার থেকে থাকে। ( ফাইবার বলতে মূলত আঁশজাতীয় খাবার কে নির্দেশ করে )। কিছুটা বেশি পরিমাণে কিসমিস খাওয়ার ফলে শরীরে কিশমিশের সেই ফাইবারগুলো খাবার পরিপাকের জন্য সহায়তা করে। ফলে কোষ্ঠকাঠিন্যতা দূরীকরণের জন্য ভালো উপকারে আসে।
হজমশক্তি বাড়ায়
কিসমিস নিয়মিত হওয়ার ফলে শরীরের হজম শক্তি বৃদ্ধি পায়। নিয়মিত কিসমিস খাওয়ার ভালো একটি পদ্ধতি হল- রাত্রিবেলা এক গ্লাস পানি নিয়ে সেখান থেকে এসে ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খাওয়া। এই কাজটি নিয়মিত করলে, পাকস্থলীর হজম শক্তি বৃদ্ধি পাবে।
সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ, কিসমিস এর মধ্য অনেক ধরনের গুনাগুন ক্ষমতা আছে। এর সকল গুনাগুন ক্ষমতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ তথ্য দেওয়া সম্ভব নয় বললেই চলে। তাই আমরা আপনাদের জন্য কিসমিসের অল্প কিছু গুণাগুণ তুলে ধরেছি। আশা করি, নিয়মিত কিসমিস খাবেন। ইনশাআল্লাহ, সেইসাথে সকলে সুস্থ থাকবেন। আজকের মতো এই পর্যন্তই। ধন্যবাদ সবাইকে।